দেশের ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান বলেও জানান তিনি। রোববার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখের দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যে তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের কড়া নজরদারি এবং দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজামণ্ডপ কমিটির সহযোগিতাসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরা অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং সহিংসতা সৃষ্টির যে পাঁয়তারা করেছে, সেটার সঙ্গেও কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীর ইন্ধন ছিল। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গতবারের মতো এবারও সারা দেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৭৯৩টা মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর তথ্য রয়েছে। এসবের প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করে তদন্ত করছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে যে ধর্ষণের ঘটনায় এত তুলকালাম হয়েছে, মেডিক্যাল রিপোর্টে সেই ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীগুলো পাহাড়ের সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় ঘটনাকে সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এরইমধ্যে পাহাড়ে অবরোধ এবং ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, কোর কমিটির সভায় জাতীয় নির্বাচন, চাকসু ও রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব অস্ত্র লুট হয়ে গেছে সেগুলোর উদ্ধার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।